🔖 টপিকঃ বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল ( পর্ব -০১)

★ নদী - উৎপত্তিস্থল

পদ্মা - হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে।

মেঘনা - আসামের নাগা মণিপুর পাহাড়ের দক্ষিণে লুসাই পাহাড় থেকে।

ব্রহ্মপুত্র - তিব্বতের হিমালয়ের কৈলাশ শৃঙ্গের কাছে মানস সরোবর হ্রদ থেকে।

যমুনা - জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা যমুনা নামে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়।

কর্ণফুলী - মিজোরামের লুসাই পাহাড়ের লংলেহ থেকে।

সাঙ্গু - মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে (আরাকান পাহাড়)।

করতোয়া - সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল।

তিস্তা - সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল।

মাতামুহুরী - লামার মইভার পর্বত।

মহুরী -ত্রিপুরার লুসাই পাহাড়।

ফেনী - পার্বত্য ত্রিপুরার পাহাড়।

গোমতী - ত্রিপুরা পাহাড়ের ডুমুর।

খোয়াই - ত্রিপুরার আঠামুড়া পাহাড়।

সালদা - ত্রিপুরার পাহাড়।

হালদা - খাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বতশৃঙ্গ।

মনু - মিজোরামের পাহাড় থেকে।

মহানন্দা - হিমালয় পর্বতমালার মহালদিরাম পাহাড়।

----------------------------------------------------------------------------------

🔖 টপিকঃ বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল ( পর্ব -০২)

★ বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর মিলিত হওয়ার স্থান

নদীর নাম - মিলনস্থান - মিলিত হওয়ার পর নদীর নাম

পদ্মা ও যমুনা - গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী), দৌলতদিয়া - পদ্মা

পদ্মা ও মেঘনা - চাদঁপুর - মেঘনা

কুশিয়ারা ও সুরমা - আজমিরীগঞ্জ - কালনি [কালনি ভৈরব বাজারে কাছে মেঘনা নাম ধারণ করে]

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা - ভৈরববাজার - মেঘনা

বাঙ্গালি ও যমুনা - বগুড়া - যমুনা

হালদা ও কর্ণফুলী - কালুরঘাট, চট্টগ্রাম - কর্ণফুলী

তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র - চিলমারী, কুড়িগ্রাম - ব্রহ্মপুত্র

★ নদী, উপনদী ও শাখানদী

নদীর নাম - উপনদী - শাখানদী

পদ্মা - মহানন্দা - কুমার, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ।

মহানন্দা - পুনর্ভবা, নাগর, টাঙ্গন ও কুলিখ -

মেঘনা - মনু, বাউলাই, তিতাস, গোমতী -

ব্রহ্মপুত্র - ধরলা ও তিস্তা - যমুনা, বংশী, শীতলক্ষ্যা

যমুনা - করতোয়া ও আত্রাই - ধলেশ্বরী

কর্ণফুলী - হালদা, বোয়ালখালী, কাসালং - মাইনী

ধলেশ্বরী - - বুড়িগঙ্গা

ভৈরব - - কপোতাক্ষ ও পশুর

★ নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য

বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ সাধারণত অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই, ঈ - কারান্ত হয়। যেমন- রহিম (অ-কারান্ত), রহিমা (আ-কারান্ত), রজক (অ-কারান্ত), রজকী (ঈ-কারান্ত), নদ (অ-কারান্ত), নদী (ঈ-কারান্ত)। তাই যেসব ‘নদীর’ নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ-কারান্ত তারা নদ; আর যেসব ’নদীর’ নাম নারীবাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ, ই-কারান্ত তারা নদী।