♠ বায়োলজি ১ম পত্র কমপ্লিট সাজেশন ♠
পড়ি আর ভুলি এই টাইপের সাবজেক্টের যদি লিস্ট করা হয় তাহলে সবার আগে থাকবে এই বায়োলজি! বিশেষক্ষেত্রে যাদের মুখস্ত বিদ্যা একদম ভালো লাগে না তাদের কাছে সব থেকে বিরক্তিকর সাবজেক্ট এটা! ভাইয়া বায়োলজিতো পড়ি আর ভুলি! বায়োলজি ১২ টা অধ্যায় কিচ্ছু পড়া হয়নি! বায়োলজি কিছু পারি না ইত্যাদি ইত্যাদি। আচ্ছা বায়োলজি যেহেতু পারি না তাহলে এখন পারবো।কীভাবে পারবো?! একটু টেকনিক্যালি পড়লেই বায়োলজিতে ভালো করা সম্ভব। এখন কথা হচ্ছে টেকনিকটা কি? কীভাবে পড়বো? কী পড়বো? মূলত এই টেকনিকটা হচ্ছে যাদের বায়োলজি প্রিপারেশন একদম বাঁজে তাদের জন্য। তোমাকে প্রথমে বায়োলজি রিটেনে ভালো করার জন্য সাতটা অধ্যায় সিলেক্ট করতে হবে। যেই সাতটা অধ্যায় পুরো রিভিশন দিয়ে পড়লে আর ইম্পরট্যান্ট টপিকসগুলা বার বার দেখলেই এনাফ! ইম্পরট্যান্ট টপিকসগুলা কি সেটা ভাইয়া বলে দিচ্ছি। তার আগে প্রশ্ন হচ্ছে কোন সাতটা অধ্যায় পড়বো? সেটাও বলে দিচ্ছি।
যেহেতু নবম অধ্যায় খুব বড়। এটা থেকে একটা সিকিও নিশ্চিত। এটা যদি কারো আগে ভালোভাবে পড়া না থাকে তাহলে স্কিপ করাই ভালো। আমি যেই সাতটা অধ্যায় বলবো সেই সাতটা অধ্যায় পড়লে রিটেনের জন্য মোর দেন এনাফ! আর যদি এই সাতটা অধ্যায়ের খুঁটিনাটি একটু মন দিয়ে পড়ো চোখ বন্ধ করে MCQ ১৭+ কমন আসবে।আর রিটেনে ভালো করলে এ+ পাবার জন্য মচকে এই ১৭ টাই যথেষ্ট!
অধ্যায়গুলা: ১,২,,৮,১১,১২ এই পাঁচটা থেকে ৫ টা প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা বেশি। রিস্ক এড়ানোর জন্য- ৩,৬ অধ্যায় পড়তে হবে।
অর্থাৎ -১,২,৩,৬,৮,১১,১২ এই সাতটা অধ্যায় পড়লে পাঁচটা তো নিশ্চিত আসবেই। ছয়টাও কমন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।এই সাতটা অধ্যায়ের ইম্পরট্যান্ট টপিকসগুলা বেশি বেশি করে পড়তে হবে। কেউ এই সাতটা অধ্যায়ের বাইরে কোনোটা ভালো পারলে সেটা পড়তে পারো। আর এখান থেকে কোনোটা স্কিপ করে ওইগুলা পড়লে অবশ্যই আগে আমাকে জিজ্ঞেস করে নিবে। এবার আসি এই সাতটা অধ্যায়ের ইম্পরট্যান্ট টপিকস নিয়ে। পারলে এই অধ্যায়গুলা পুরোটা পড়ার চেষ্টা করবা।
অধ্যায়-১: ফ্লুইড মোজাইক মডেল,কোষ ঝিল্লী ও কোষ প্রাচীরের পার্থক্য, DNA মডেল/গঠন,ক্রোমোসোমের গঠন ও প্রকার,রেপ্লিকেশন,ট্রান্সক্রিপশন, ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশনের তুলনা। এই অধ্যায় থেকে এই কয়টা টপিকসই এনাফ!
অধ্যায়-২: ক্রসিং ওভারের কৌশল ও গুরুত্ব,মাইটোসিস বিভাজনের ধাপসূমহ,জাইগোটিন,প্যাকাইটিন,ডিপ্লোটিন,জীবন ধারাবাহিকতায় মাইটোসিসের অবদান। মিয়োসিস আর মাইটোসিসের পার্থক্য।
অধ্যায়-৩:কার্বোহাইড্রেটের শ্রেনী বিভাগ ও ব্যাবহার,এনজাইমের নামকরন,কৌশল ও শ্রেণীবিন্যায, ব্যাবহার, লিপিড ও জীবদেহে লিপীডের ভুমিকা,বাইরাসের গঠন ও গুরুত্ব,ব্যাকটেরিয়া,জনন ও গুরুত্ব,ম্যালেরিয়া। এটা না পারলে এটার বদলে অধ্যায়-৪ পড়বা। ওখান থেকে একটা আসবে।
অধ্যায়-৬ : এই অধ্যায় থেকে মূলত মিক্সড করে প্রশ্ন আসে। ৬,৭ মিলিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি। Ricciar গঠন,pteris এর গঠন ও জনুক্রম,টেরিডোফাইটার বৈশিস্ট,পুস্প সংকেত,বিন্যাস,প্রতীক,poaceae,Malvoaceae গোত্র শনাক্তকরণ/বৈশিস্ট মুলত এই দুই অধ্যায় মিলেই একটা প্রশ্ন আসবে। যদিও এগুলা ছোট আর সহজ অধ্যায়।
অধ্যায়-৮ : ভাজক টিস্যু( বৈশিষ্ট,কাজ, প্রকারভেদ),ভাস্কুলার ভান্ডল শ্রেণীবিভাগ, একবীজপত্রী মূল ও কান্ডের অন্থর্গঠন। এই কয়েকটা টপিকস পড়লেই এনাফ।
অধ্যায়-১১: রিকম্বিনেন্ট টেকনোলজি, টিস্যু কালচার ও প্রযুক্তির ধাপসূমহ,ব্যাবহার,কৃষি উৎপাদন,চিকিৎসা,ওষুধ শিল্পে জীব প্রযুক্তির ব্যাবহার,বায়োটেকনোলজির গুরুত্ব।
অধ্যায়-১২: প্রজাতি,জীব গোস্টি,জীব সম্প্রদায়,ইকোলজিকাল পিরামিড, ওরিয়েন্টাল অঞ্চল,বাংলাদেশের বনাঞ্চল,জীব সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা,জীব বিলুপ্তির কারন,ইন-সিটু/এক্স সিটু সংরক্ষন।
তোমরা এই সাতটা অধ্যায়ের এই টপিকসগুলা খুবই মন দিয়ে ভালোভাবে পড়ো। রিটেন অংশ ভালো হবেই। ট্রাস্ট মি। খুব ভালোভাবেই পাঁচটা প্রশ্ন কমন আসবে। এর বেশি আসার সম্ভাবনাই আছে।
টেস্ট পেপার থেকে মচক প্র্যাক্টিস করবা। দেখবা সব পারতেছো। ইনশাআল্লাহ ভালো করবা। তবে বায়োলজি যত সকালে উঠে পড়তে পারো তত ভালো। সকালে পড়া বেশি মূখস্থ হয়। দিনের সময়টাকে ভোরে কনভার্ট করতে পারলে বেশি হবে তোমার জন্য।
ভয় পাবার কিছু নেই।
সায়েন্সের সাবজেক্টে তোমদের এ+ পেতে কঠিন মনে হলেও সায়েন্সের সাবজেক্টে একটু টেকনিক্যালি পড়লে খুব সহজে এ+ পাওয়া যায়। সায়েন্সের প্লাস পয়েন্ট প্র্যাক্টিকেল।
-----------------------------------------------------------------------------------